আতঙ্ক ও উদ্বেগ
ভীতি ও উদ্বেগ প্রভৃতির অন্যতম প্রধান উৎপত্তিস্থল রােগব্যাধি। অনেক সময় সাধারণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছাড়াও পারিবারিক ও আত্মীয়তাকেন্দ্রিক সমস্যাবলি আপনার মানসিক অস্থিরতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। এসবের যেকোনাে একটি ঘটলে তা প্রতিফলিত হবে ব্যক্তির মনােদৈহিক আয়নায়।
ধরুন, বলা নেই কওয়া নেই আচমকা আপনার
বাড়িতে পুলিশ এসে হাজির! এমতাবস্থায় আপনি নিশ্চয়ই স্বাভাবিক থাকতে পারবেন না মনস্তত্ত্ববিদগণ বিপদ ও ভীতির মাঝে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য নির্ধারণ করে থাকেন।
বিপদ হলাে এমন আকস্মিক পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত বােধ করা, যার কোনাে দৃশ্যমান চিত্র আছে। অপরদিকে ভীতি আর উদ্বেগের বসবাস মস্তিষ্কে। ভয়ের ধরন বিবেচনায় এর প্রতিরােধের উপায়ও হতে পারে বিভিন্ন রকম। কখনাে অঝােরে কেঁদে, কখনাে বা শােকে সংবিৎ হারিয়ে
সাইকোলজিক্যাল ক্রাইসিস pdf
এমনকী পালিয়ে গিয়েও মানুষ নিষ্কৃতি পায়
এসব অবস্থা থেকে। কিন্তু কোনাে মুসলমান এ ধরনের পরিস্থিতে পড়লে কী করবে? কুরআন মাজিদ সেই নির্দেশনা দিচ্ছে-
‘সেসব ধৈর্যশীলদের জন্য সুসংবাদ, যারা বিপদগ্রস্ত হলে বলে আমাদের কাছে যা কিছুই আছে-তা আল্লাহরই প্রদত্ত। আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব। তাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে করুণারাশি ও রহমত বর্ষিত হয় । তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত লােক।' সূরা বাকারা : ১৫৫
এর ঠিক আগের আয়াতেই বলা হয়েছে-‘আল্লাহ সম্পদহানি ও ভয়ভীতির মাধ্যমে আমাদের বিশ্বাস ও দৃঢ় পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। যারা সেসব কষ্টেও স্থির ও অবিচল থাকে, তারাই আখেরে ভূষিত হবে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ও মর্যাদায়।
Social Plugin